আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে খাস জমি উদ্ধারে ইতিহাস গড়লেন এসিল্যান্ড

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:  ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার খাস জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে এক নতুন নজির গড়লেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা। প্রভাবশালী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অপশক্তির বিপক্ষে এমন পদক্ষেপ কেউ গ্রহণ না করার ফলে কয়েক একর জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি দীর্ঘ দিন ধরে। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দৃঢ় হস্তক্ষেপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নতুন ইতিহাস গড়ে তুললেন এসিল্যান্ড সোহাগ চন্দ্র সাহা ।

ঠাকুরগাঁও জেলা রানীশংকৈল উপজেলায় আসার পর কত একর খাস জমি দখলমুক্ত করেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এযাবৎ প্রায় ৭ একর জমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করা হয়। রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার হাটের ১.১/২ একর যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০লক্ষ, রাজবাড়ি ০২ একর যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি, সন্ধ্যারই( হাইওয়ের পাশে) ৬৩ শতক যার বর্তমান বাজার মূল্য ২ কোটি, ঘোঘোডারায় ১৭ শতক যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩৪ লক্ষ টাকা, সহোদরে ৩৬ শতক যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা, সর্বশেষ ঐতিহাসিক নেকমরদ বাজারের ২.২১ শতক যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা।

তিনি আরোও বলেন আইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালান হয়েছে। তাছাড়া খাস জমি থেকে যেসব পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের ২২০টি পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়। নেকমরদ হাটে যাদের দোকান ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে একটি করে দোকান ঘরের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

এমন মহৎ কাজ করার জন্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন এযাবৎ যত এসিল্যান্ড এ উপজেলায় এসেছিলেন তারা কেউ এই সরকারি খাস জমি উদ্ধার করতে পারেননি বা উদ্যোগ নেননি। যা এই সহকারি কমিশনার (ভূমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা উদ্ধার করে দেখিয়ে দিলেন । ঠাকুরগাও জেলার মধ্যে ইতিহাস গড়ে তুললেন এসি ল্যান্ড। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম প্রশংসা করেন।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন অপপ্রচার, ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কালো টাকা ওয়ালাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে দেশ সেবায় এগিয়ে আসার আহবান সুধি মহলের।